কবিতা 

সুজালো যশ এর পাঁচটি কবিতা

হরিদ্রা হরিৎ
বন্ধু রাফাত’কে
ফাল্গুনীর চোখে ঢুকেই দেখি
ছাতিমের হৃদয় থেকে সহস্র হারমোনিকা উড়ে যাচ্ছে
ক্লান্ত ফুলেরা ঘুমাচ্ছে সবুজাভ দৃশ্য জড়িয়ে
তাই ভাবলাম এবার অবলোকিতেশ্বর পাখি হবো পাহাড়ি নদীর সাথে সুর মিলিয়ে বলবো
দুঃখ করোনা জীবন!
এ যাবত-
যতবার গোলক ধাঁধায় পড়েছি
ততবার ঋণী হয়েছি এই বনজ কোলাহলের কাছে।

 

সওদাগরি চুমোর দিনে
বিষণ্ণ দো-চুওয়ানির কোলে বোয়াল সন্ধ্যা নেমে এলে
তরমুজবাদ থেকে কিছু অর্গ‍্যানিক কাজুফল উড়ে যায় উপেক্ষিত নাগর দোলায়
তবুও দংশিত ঘেরা রোদ
পৈতৃক মেনিফেস্টে অগ্রন্থিত ঠোঁট তুলে রাখে বহুরৈখিক চোখের কণায়।

 

প্রতিধ্বনির প্রতিফলন
ধোঁয়াসার তত্ত্ব আওড়ে কার হাত ধরে দৌড়াও
স্বজনা
ভজনা করে কাহারবা বাজিয়ে দেখো মিথিক্যাল মিটসেফে
ইতিহাসের তালুর বরাবর শূন্য বসিয়ে…
ট্রাফিকের হুইসেল নেচে উঠলেই
নদীর আইন উল্টো হাঁটে
গন্তব্যের খুলি
এসো রেস্তোরার প্লেটে শাস্ত্র খাওয়া শিখে ফেলি
ওঝার তালে তালে।

 

টিকটিক; মুদ্রিত মানের স্বার্থ
চাঁপালিশের শরীর জুড়ে লেপ্টে থাকা কৈ’য়ের
ইতিহাস
যেন জাকারান্ডার মতো ফুটে আছে ঘরোয়া ফুলের নির্যাসে
হরপ্পার মধু খেয়ে রোদরঞ্জনের কোষাগারে ঘুমাচ্ছে মূর্ছিত হওয়া অষ্টধাতুর বিছানা
তবুও ফিসফাস যুগের ডিজাইন…
দুই, দেড়, আড়াই কিংবা সাড়ে তিন বছরের
ক্লায়েন্ট হয়ে নেচে যাচ্ছে উট পাখির ডানায়।

 

বিকীর্ণ পাজরের দম
কেবল হাইব্রাও আকাশে ওড়ার বাসনায়
তারা ওয়াইফাই পথ বেয়ে হাঁটছে ঘৃতকুমারীর
হৃদয় ছেড়ে…
যেন নগর থেকে সংকীর্ণ ধুলো মুছে যেতে যেতে
অপেরার সঙ্গীতে মিশে যায় সর্পগন্ধার ঘ্রাণ

ভ্রম কিংবা ক্রোধের বশে জুয়াড়ীর মোক্ষম চালে
ফেঁসে গেলে
উত্তরের হাওয়ায় ফিরে এসো তুমি পাথরকুচির বুকে।

Related posts